প্রকাশিত: Sat, Dec 23, 2023 8:39 PM আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 10:04 PM
[১]কয়রায় ২০ বছর পর ২ হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের বাম্পার ফলন
এসএম মনিরুজ্জামান, কয়রা (খুলনা): [২] উপজেলায় বিশ বছর পর লবণ পানি মুক্ত ২ হাজার বিঘা জমিতে প্রথম আমন ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। আর নয় লবণ পানির চিংড়ি চাষ এবার হবে মিষ্টি পানিতে ধান চাষ। এই শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে লবণ পানির অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছিলো উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের জনগণ। ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনগনের প্রচেষ্টায় ২ হাজার বিঘা জমিতে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন বিগত বছর। লবণ পানি মুক্ত জমিতে জমির মালিকরা সে সময় বোরো আবাদে শুরু করেন এবং ফলন ও পান ভালো। দীর্ঘ ২০ বছর লবণ পানির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের পর লবণ পানি মুক্ত হয়ে বরো আবাদ এবং আমন ধানের আবাদ করতে পেরে বেজায় খুশি জমির মালিক ও কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। [৩] দির্ঘদিন পরে আমনের বাম্পার ফলন পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক। তাদের দাবী পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায় লবন পানি উত্তোলন বন্ধো করতে হবে। জানা গেছে,পরিবেশ বিপর্যয় ও অর্জিত অর্থের প্রাপ্তিতে অসমতা বাংলাদেশের চিংড়ি চাষের বর্তমান পদ্ধতিতে বিতর্কিত করে তুলেছে। ফলে চিংড়ি খাতটি রফতানি বাণিজ্য অন্যতম বৃহৎ অর্থ উপার্জনকারী খাত হিসাবে প্রতিষ্টিত হলেও সঠিক নীতিমালা, প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষোকতার অভাবে দেশের জীবনদানকারী খাত হিসাবে প্রতিষ্টিত হতে পারছেনা। বরং প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে জমির মালিক ও কৃষকরা দাবি তুলেছেন লবণ পানির চিংড়ি ঘেরের বিরুদ্ধে। তারা এখন মিষ্টি পানিতে ধান চাষ করতে চান। ঘেরের বিরুদ্ধে নয় লবণ পানির বিরুদ্ধে ২০২১ সালে উপজেলা পরিষদের সাধারন সভায় লবণ পানির চিংড়ি চাষের বিরুদ্ধে আলোচনার সুত্রপাত হয়। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসেন লবণ পানি উত্তেলন ও চিংড়ি চাষের বিরুদ্ধে। ঘেরে লবণ পানি না ওঠানোর জন্য মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়। যার ধারাবাহকতায় উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ানের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড লবণ পানিমুক্ত হয়। ২০ বছর পর লবণ পানি মুক্ত ওই জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং প্রস্ততি চলছে বোরো আবাদের। [৪] এলাকাবাসীর একটাই দাবি-আর চাইনা লবণ পানির চিংড়ি চাষ-এবার হবে মিষ্টি পানিতে ধান চাষ। স্থানীয় কৃষক রাজা গাজী বলেন, দির্ঘদিন পরে লবণ পানি মুক্ত জমিতে আমনের বাম্পার ফলন পেয়ে এলাকার কৃষক খুশি।
[৫] মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনি শংকর রায় বলেন, জমির মালিকরা ঘের করবে না বলে অঙ্গিকার করেন। যারধারাবাহিকতায় তার ওায়ার্ড লবণ পানি মুক্ত হয়েছে। এবং লবণ পানি মুক্ত ওই জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
[৬] উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, কৃষি প্রধান দেশে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে সরকার নানামুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কৃষক যাতে সহজে উৎপাদন বাড়াতে পারে সে জন্য বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
[৭] মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, জমির মালিক ও এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করেই লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিলো। লবণ পানি উত্তোলন বন্ধের ফলে জমিতে রেকর্ড পরিমান আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। এলাকার মানুষ এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখছে।